দিন রাত কীভাবে হয়-পরীক্ষার সাহায্যে বর্ণনা
দিন রাত কীভাবে হয়-পরীক্ষার সাহায্যে বর্ণনা
পরীক্ষার নামঃ পৃথিবীর আহ্নিক গতির পরীক্ষা
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ একটি ভূগোলক, একটি মোমবাতি অথবা কুপিবাতি অধবা চার্জ লাইট।
পরীক্ষাঃ
চিত্র-১২.৬: পৃথিবীর আহ্নিক গতির পরীক্ষা
প্রথমে ভূগোলক ভালোভাবে লক্ষ করি। এর মাঝ বরাবর একটি শলাকা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেছে। এটি পৃথিবীর অক্ষরেখা হিসেবে কল্পনা করা যায় যাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী আবর্তন করে।
একটি টেবিল বা সমতল মেঝের উপর বাতিটি জ্বালিয়ে দিই। এবার একটু দূরে ভূগোলকটি রাখি। কক্ষটির আলো নিভিয়ে বা দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরটি অন্ধকার করি। বাতিটিকে সূর্য এবং ভূগোলকটিকে পৃথিবী হিসেবে বিবেচনা করি। এবার ভূগোলকটির দিকে তাকাই। দেখা যায় যে, ভূগোলকটির সব দিক সমান আলোকিত নয়। যে দিক আলোকিত তার বিপরীত দিক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূগোলকটির অর্ধেক অংশ আলোকিত আর অন্য অর্ধেক অন্ধকারাচ্ছন্ন। যে অর্ধেক বাতিটির দিকে আছে-সে অর্ধেক আলোকিত। আলোকিত অংশকে আস্তে আস্তে ঘোরাই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে-অন্ধকার অংশ আস্তে আস্তে আলোকিত হচ্ছে এবং আলোকিত অংশ ধীরে ধীরে অন্ধকার হচ্ছে। কিন্তু সব সময়ই ভূগোলকটির অর্ধেক অংশ আলো পাচ্ছে এবং বাকি অর্ধেক অংশ আলো পাচ্ছে না। এভাবে পৃথিবীর অর্ধেকাংশে দিন এবং বাকী অর্ধেকাংশে রাত চলতে থাকে ভূগোলকটির একটি নির্দিষ্ট স্থান বাতিটির সমান রেখে ধীরে ধীরে একদিকে ঘোরাতে থাকলে ঐ আলোকিত অংশ ধীরে ধীরে অন্ধকার হতে হতে একসময় পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যাবে। একই দিকে আবারো ঘোরাতে থাকলে আবার ঐ নির্দিষ্ট স্থানটি আলোকিত হতে শুরু করে এবং একসময় পুরোপুরি আলোকিত হয়ে যায়। ঐ স্থানে আবার দিন ফিরে আসে।
ফলাফলঃ এই পরীক্ষাটির মতো পৃথিবী তার নিজ অক্ষে আবর্তন করে ফলে আমরা দিন, তারপর রাত, আবার দিন, আবার রাত, আবার দিন একই রকম পরিবর্তন হতে দেখি। অন্যকথায়, দিন-রাত-দিন-রাত-দিন এই পরিবর্তন আমরা দেখি কারণ পৃথিবী তার নিজ অক্ষে আবর্তন করে বলে।
পরীক্ষার নামঃ পৃথিবীর আহ্নিক গতির পরীক্ষা
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ একটি ভূগোলক, একটি মোমবাতি অথবা কুপিবাতি অধবা চার্জ লাইট।
পরীক্ষাঃ
চিত্র-১২.৬: পৃথিবীর আহ্নিক গতির পরীক্ষা
প্রথমে ভূগোলক ভালোভাবে লক্ষ করি। এর মাঝ বরাবর একটি শলাকা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেছে। এটি পৃথিবীর অক্ষরেখা হিসেবে কল্পনা করা যায় যাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী আবর্তন করে।
একটি টেবিল বা সমতল মেঝের উপর বাতিটি জ্বালিয়ে দিই। এবার একটু দূরে ভূগোলকটি রাখি। কক্ষটির আলো নিভিয়ে বা দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরটি অন্ধকার করি। বাতিটিকে সূর্য এবং ভূগোলকটিকে পৃথিবী হিসেবে বিবেচনা করি। এবার ভূগোলকটির দিকে তাকাই। দেখা যায় যে, ভূগোলকটির সব দিক সমান আলোকিত নয়। যে দিক আলোকিত তার বিপরীত দিক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূগোলকটির অর্ধেক অংশ আলোকিত আর অন্য অর্ধেক অন্ধকারাচ্ছন্ন। যে অর্ধেক বাতিটির দিকে আছে-সে অর্ধেক আলোকিত। আলোকিত অংশকে আস্তে আস্তে ঘোরাই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে-অন্ধকার অংশ আস্তে আস্তে আলোকিত হচ্ছে এবং আলোকিত অংশ ধীরে ধীরে অন্ধকার হচ্ছে। কিন্তু সব সময়ই ভূগোলকটির অর্ধেক অংশ আলো পাচ্ছে এবং বাকি অর্ধেক অংশ আলো পাচ্ছে না। এভাবে পৃথিবীর অর্ধেকাংশে দিন এবং বাকী অর্ধেকাংশে রাত চলতে থাকে ভূগোলকটির একটি নির্দিষ্ট স্থান বাতিটির সমান রেখে ধীরে ধীরে একদিকে ঘোরাতে থাকলে ঐ আলোকিত অংশ ধীরে ধীরে অন্ধকার হতে হতে একসময় পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যাবে। একই দিকে আবারো ঘোরাতে থাকলে আবার ঐ নির্দিষ্ট স্থানটি আলোকিত হতে শুরু করে এবং একসময় পুরোপুরি আলোকিত হয়ে যায়। ঐ স্থানে আবার দিন ফিরে আসে।
ফলাফলঃ এই পরীক্ষাটির মতো পৃথিবী তার নিজ অক্ষে আবর্তন করে ফলে আমরা দিন, তারপর রাত, আবার দিন, আবার রাত, আবার দিন একই রকম পরিবর্তন হতে দেখি। অন্যকথায়, দিন-রাত-দিন-রাত-দিন এই পরিবর্তন আমরা দেখি কারণ পৃথিবী তার নিজ অক্ষে আবর্তন করে বলে।
No comments