কম্পিউটার কি? কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান!
কম্পিউটার কি? কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান!
কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান। মানুষের সকল চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার মানুষের চিন্তা ও চেতনার বিকল্প হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ মস্তিষ্ক দিয়ে যে জটিল সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারছে না, কম্পিউটার তার সমাধান দিচ্ছে অতি দ্রুত। আজকের দিনে কম্পিউটার নানা বৈচিত্র্য এবং বহুমূখী পথ ধরে এগিয়ে চলছে অনাগত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।
ল্যাটিন শব্দ ‘ ঈড়সঢ়ঁঃব ’ থেকেই ‘ কম্পিউটার ’ শব্দের উৎপত্তি যার আভিধানিক অর্থ গণনাকারী বা হিসাবকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন কম্পিউটার বলতে এমন একটি যন্ত্রকে বোঝায় যা অগণিত উপাত্ত বা তথ্য গ্রহণ এবং স্বয়ংক্রিভাবে বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুত বহু জটিল সমস্যার নিখুঁত সমাধান দিতে পারে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার গণিত, যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান করে অতি অল্প সময়ে। তবে কম্পিউটার নিজে কোনো কাজ করতে পারে না বরং মানুষ কম্পিউটারকে যেভাবে নির্দেশ করে কম্পিউটার সেই মোতাবেক কাজ করে।
বহুকাল ধরে বহুজনের অবদানের ফলে আবি®কৃত হয়েছে কম্পিউটার। যোগ-বিয়োগ করতে পারে এবং এমন একটি গণকযন্ত্র। গুণ ও ভাগ করতে পারে এমন যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর কম্পিউটার হিসেবে গণিতবিদ চালর্জ ব্যাবেজের হাতে এসে আধুনিক রূপ লাভ করে। তাই তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। এরপর থেকে যন্ত্রটি দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং গঠন ও আকৃতিতে অভিনবত্ব লাভ করে। সেই সাথে কম্পিউটারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রই কোনো না কোনোভাবে কম্পিউটারের ওপর নির্ভরশীল। মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির অনন্য বাহন কম্পিউটার। আজকের উন্নত বিশ্বে কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থা কল্পনা করা অসম্ভব। এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করা সহজ হয়ে গেছে। প্রকাশনা শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে কম্পিউটার। যার ফলে জ্ঞানচর্চা অন্যতম উপকরণ বই ঠিক সময়ে আমাদের হাতে পৌঁছে। বইয়ের বিষয়াবলি এখন কম্পিউটারের ডিস্কে জমা রাখা যাচ্ছে। কি-বোর্ডের বোতাম টিপলেই এখন বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানভান্ডার আমাদের সামনে মনিটরের পর্র্দায় ভেসে উঠছে। কম্পিউটারের আশীর্বাদে যেকোনো বিষয় এখন হাতের কাছে অবস্থান করে মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। এটি যেমন গ্রন্থগারের ভূমিকা পালন করছে, তিমনি অভিজ্ঞ শিক্ষকের। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা আমাদের যেকোনো শিক্ষণীয় বিষয়কে চোখের সামনে পাচ্ছি। পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থাগার এখন আমাদের ঘরেই যেন অবস্থান করছে।
মানুষের রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে কম্পিউটার এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রোগের কারণ ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এর প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে কম্পিউটার এখন সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
কম্পিউটার এখন তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক অবাক করা ভূমিকায় অভিনয় করছে। আধুনিক তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইল, ফ্যাক্স, ফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতির প্রাণবায়ু হয়ে বিরাজ করছে কম্পিউটার। বিশ্বের আন্তর্জাতিক তথ্য প্রবাহের যুগে, কম্পিউটার অবাধ বিচরণের ক্ষেত্রের অভাবিত প্রসারণ ঘটিয়ে বিপুল বিস্ময়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কম্পিউটার আবিষ্কার এবং ব্যবহারের আধুনিক বিশ্ব তথা মানব সমাজে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ করা যায়। যুদ্ধ-বিগ্রহ, অস্ত্র নির্মাণ, আকাশ দখলের প্রতিযোগিতা প্রভৃতির পেছনে কম্পিউটারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে সৃষ্ট ইন্টারনেট, ভিডিও গেম প্রভৃতির মাধ্যমে নানা কুরুচিপূর্ণ বিনোদন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।
কম্পিউটারের বি¯তৃত কর্মকান্ড নিয়েই আজকের জগৎ। এর সফল প্রয়োগে আমরা অতি সহজেই আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে উপনীত হতে পরি। শতাব্দীর এ বিস্ময়কর আবিষ্কারটিই সমস্যসঙ্কুল দেশের মানুষকে আঁধার থেকে আলোতে আনার পথ দেখাবে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারের প্রতি আকৃষ্ট কতে পারলে দেশে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান। মানুষের সকল চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার মানুষের চিন্তা ও চেতনার বিকল্প হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ মস্তিষ্ক দিয়ে যে জটিল সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারছে না, কম্পিউটার তার সমাধান দিচ্ছে অতি দ্রুত। আজকের দিনে কম্পিউটার নানা বৈচিত্র্য এবং বহুমূখী পথ ধরে এগিয়ে চলছে অনাগত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।
ল্যাটিন শব্দ ‘ ঈড়সঢ়ঁঃব ’ থেকেই ‘ কম্পিউটার ’ শব্দের উৎপত্তি যার আভিধানিক অর্থ গণনাকারী বা হিসাবকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন কম্পিউটার বলতে এমন একটি যন্ত্রকে বোঝায় যা অগণিত উপাত্ত বা তথ্য গ্রহণ এবং স্বয়ংক্রিভাবে বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুত বহু জটিল সমস্যার নিখুঁত সমাধান দিতে পারে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার গণিত, যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান করে অতি অল্প সময়ে। তবে কম্পিউটার নিজে কোনো কাজ করতে পারে না বরং মানুষ কম্পিউটারকে যেভাবে নির্দেশ করে কম্পিউটার সেই মোতাবেক কাজ করে।
বহুকাল ধরে বহুজনের অবদানের ফলে আবি®কৃত হয়েছে কম্পিউটার। যোগ-বিয়োগ করতে পারে এবং এমন একটি গণকযন্ত্র। গুণ ও ভাগ করতে পারে এমন যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর কম্পিউটার হিসেবে গণিতবিদ চালর্জ ব্যাবেজের হাতে এসে আধুনিক রূপ লাভ করে। তাই তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। এরপর থেকে যন্ত্রটি দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং গঠন ও আকৃতিতে অভিনবত্ব লাভ করে। সেই সাথে কম্পিউটারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রই কোনো না কোনোভাবে কম্পিউটারের ওপর নির্ভরশীল। মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির অনন্য বাহন কম্পিউটার। আজকের উন্নত বিশ্বে কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থা কল্পনা করা অসম্ভব। এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করা সহজ হয়ে গেছে। প্রকাশনা শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে কম্পিউটার। যার ফলে জ্ঞানচর্চা অন্যতম উপকরণ বই ঠিক সময়ে আমাদের হাতে পৌঁছে। বইয়ের বিষয়াবলি এখন কম্পিউটারের ডিস্কে জমা রাখা যাচ্ছে। কি-বোর্ডের বোতাম টিপলেই এখন বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানভান্ডার আমাদের সামনে মনিটরের পর্র্দায় ভেসে উঠছে। কম্পিউটারের আশীর্বাদে যেকোনো বিষয় এখন হাতের কাছে অবস্থান করে মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। এটি যেমন গ্রন্থগারের ভূমিকা পালন করছে, তিমনি অভিজ্ঞ শিক্ষকের। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা আমাদের যেকোনো শিক্ষণীয় বিষয়কে চোখের সামনে পাচ্ছি। পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থাগার এখন আমাদের ঘরেই যেন অবস্থান করছে।
মানুষের রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে কম্পিউটার এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রোগের কারণ ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এর প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে কম্পিউটার এখন সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
কম্পিউটার এখন তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক অবাক করা ভূমিকায় অভিনয় করছে। আধুনিক তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইল, ফ্যাক্স, ফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতির প্রাণবায়ু হয়ে বিরাজ করছে কম্পিউটার। বিশ্বের আন্তর্জাতিক তথ্য প্রবাহের যুগে, কম্পিউটার অবাধ বিচরণের ক্ষেত্রের অভাবিত প্রসারণ ঘটিয়ে বিপুল বিস্ময়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কম্পিউটার আবিষ্কার এবং ব্যবহারের আধুনিক বিশ্ব তথা মানব সমাজে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ করা যায়। যুদ্ধ-বিগ্রহ, অস্ত্র নির্মাণ, আকাশ দখলের প্রতিযোগিতা প্রভৃতির পেছনে কম্পিউটারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে সৃষ্ট ইন্টারনেট, ভিডিও গেম প্রভৃতির মাধ্যমে নানা কুরুচিপূর্ণ বিনোদন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।
কম্পিউটারের বি¯তৃত কর্মকান্ড নিয়েই আজকের জগৎ। এর সফল প্রয়োগে আমরা অতি সহজেই আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে উপনীত হতে পরি। শতাব্দীর এ বিস্ময়কর আবিষ্কারটিই সমস্যসঙ্কুল দেশের মানুষকে আঁধার থেকে আলোতে আনার পথ দেখাবে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারের প্রতি আকৃষ্ট কতে পারলে দেশে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
No comments